
তদন্তে আস্থা নেই, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার
পেরিয়েছে সাত মাসেরও বেশি সময়। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি এখনও তিমিরেই পড়ে রয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও পুলিশের ভূমিকায় আস্থা রাখতে না পেরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতার বাবা-মা। নির্দিষ্ট দিন জানা না গেলেও পরিষ্কার খুব শীঘ্রই দিল্লি যাবেন আরজি করর নির্যাতিতা পড়ুয়ার বাবা-মা।
সূত্রের খবর, নির্যাতিতার দ্রুত সুবিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে পরিবারের।
নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সাফ অভিযোগ, তাঁরা ন্যায়বিচার পাননি। এমনকি সিবিআই-এর তদন্তেও তাঁরা মোটেই সন্তুষ্ট নন। সে কারণেই এবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মেয়ের জন্য সুবিচার চাইবেন তাঁরা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আমরা সিবিআই ডিরেক্টরকে ইতিমধ্যে ইমেল করে দেখা করার অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও উত্তর পাইনি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্যও তাঁরা সময় চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
আরজি কর মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে আজীবন কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি আদালত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর ২০ জানুয়ারি তার শাস্তি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু প্রথম থেকেই নির্যাতিতার পরিবার দাবি করে আসছেন তদন্তকে ভুল পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সময় পেরলেও সুবিচার মেলেনি মেয়ের। এবার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল্লির পথে পা বাড়াচ্ছেন আরজি করের মৃত পড়ুয়া চিকিৎসকের পরিবার।
এদিকে সোমবারই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শিয়ালদহ আদালতে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা স্পষ্ট জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের সিম কার্ড তারা এখনই ফেরত দেবে না। কারণ, তদন্তের অগ্রগতিতে এই সিম কার্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাদের তরফে এও জানানো হয়েছে, খুব দ্রুত এই মামলার অতিরিক্ত চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে।