ট্যাংরার রক্তাক্ত রাতের পরিকল্পনা অনেক আগেই, পরিবারেই লুকিয়ে খুনের রহস্য, কী বললেন সিপি?
1 min read

ট্যাংরার রক্তাক্ত রাতের পরিকল্পনা অনেক আগেই, পরিবারেই লুকিয়ে খুনের রহস্য, কী বললেন সিপি?

ট্যাংরার নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের তদন্তে। এক বাড়ির মধ্যেই দুই গৃহবধূ ও এক কিশোরীর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই রহস্য ঘনীভূত হয়। আর সেই রাতেই গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে আহত হওয়ার পরে উদ্ধার করা হয় ওই একই পরিবারের তিন সদস্যকে।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট, তিনজনকেই নির্মমভাবে খুন করা হয়েছিল। কিন্তু খুনি কে? পুলিশের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছেন মৃতদের পরিবারেরই দুই ভাই—প্রণয় ও প্রসূন। এর পরিকল্পনাও করা হয়েছে অনেক আগে থেকে। কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মা সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে খুনের সঙ্গে এই দুই ভাই জড়িত। ব্যবসায়িক কারণ থাকতে পারে, তবে বিষয়টি আরও বিশদে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রসূনই তাঁর দাদার স্ত্রী রোমি ও নিজের স্ত্রী সুদেষ্ণাকে খুন করেছিল। খুন করেছিল নিজের মেয়ে প্রিয়ম্বদাকেও। শুধু তাই নয়, ভাইপো প্রতীপেরও হাতের শিরা কাটার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি থাকা সেই ভাইপো প্রতীপও নিজেও তার কাকার বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ তুলেছে।

পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, ‘অপরাধের প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ আইন অনুযায়ী ওই কিশোরের দেখভালের ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। একইসঙ্গে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই গ্রেফতার করা হবে দুই ভাইকে।

তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রসূনই তাঁর দাদার স্ত্রী রোমি ও নিজের স্ত্রী সুদেষ্ণাকে খুন করেছিল। খুন করেছিল নিজের মেয়ে প্রিয়ম্বদাকেও। শুধু তাই নয়, ভাইপো প্রতীপেরও হাতের শিরা কাটার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি থাকা সেই ভাইপো প্রতীপও নিজেও তার কাকার বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ তুলেছে।

পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, ‘অপরাধের প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ আইন অনুযায়ী ওই কিশোরের দেখভালের ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। একইসঙ্গে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই গ্রেফতার করা হবে দুই ভাইকে।

সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের হাতে এসেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় দেখা যায়, ট্যাংরার বাড়ির দরজা সারাদিন বন্ধ ছিল। এমনকি ছাদের ঠাকুরঘরে যে নিয়মিত সন্ধ্যারতি হয়, তাও হয়নি। আবার রাতের ফুটেজে ধরা পড়ে, দু’ভাই প্রণয় ও প্রসূন এবং প্রণয়ের ছেলে প্রতীপ, একটি গাড়ি নিয়ে বাড়ির গ্যারাজ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পরই অভিষিক্তা মোড়ে মেট্রোর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায় সেই গাড়ি, যার ভেতরেই আহত অবস্থায় পাওয়া যায় তাদের।

পরিবারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, ব্যবসায়িক টানাপড়েন, নাকি অন্য কোনও অজানা কারণ— এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে আসল মোটিভ কী, সেটাই এখন পুলিশের তদন্তের মূল বিষয়।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *