
মদ্যপানের প্রমাণ সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট, শেষমেষ বাবলু যাদবকে ধরল পুলিশ
পানাগড়ে নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে আটক করল পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে বর্ধমান থেকে তাঁকে আটক করেন আধিকারিকরা। কিন্তু কেন বাবলুকে আটক করতে পুলিশের এত সময় লাগল না নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রথমে একে রেষারেষির ঘটনা বলেও পুলিশকে কেন অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করতে হল প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।
রবিবার রাতে সুতন্দ্রার মৃত্যুর পর সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে আসানসোল – দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার জানান, এটি রেষারেষির ঘটনা। কটূক্তি করার কোনও অভিযোগ সুতন্দ্রার গাড়ির অন্য আরোহীরা করেননি। যদিও সংবাদমাধ্যমে সুতন্দ্রার গাড়ির চালক বারবার কটূক্তি করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন সুতন্দ্রার মা-ও। লাগাতার চাপের মুখে সোমবার দুপুরে অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে কাঁকসা থানা। এর পর বিকেলে বাবলু যাদবের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এর পর রাতে বর্ধমান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কিন্তু কেন ঘটনা ঘটার পরে বাবলু যাদবকে ধরতে পুলিশের এতক্ষণ সময় লাগল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ বাবলু যাদবই যে অভিযুক্ত গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তা একপ্রকার নিশ্চিত। অভিযোগ উঠেছে, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে চালাতে সুতন্দ্রাকে কটূক্তি করেন তিনি। আর কোনও ব্যক্তি মদ্যপান করেছিলেন কি না তা নিশ্চিত হতে মদ্যপানের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। তার পর নমুনা সংগ্রহ করলে মদ্যপানের সময় নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয় না। রবিবার রাত সাড়ে বারোটার ওই ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট হয়ে গেল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।