ট্রলি ব্যাগের মধ্যে মহিলার মুন্ডুহীন দেহ, দেহাংশ লোপাটের অভিযোগে কুমোরটুলিতে ধৃত মা-মেয়ে
1 min read

ট্রলি ব্যাগের মধ্যে মহিলার মুন্ডুহীন দেহ, দেহাংশ লোপাটের অভিযোগে কুমোরটুলিতে ধৃত মা-মেয়ে

খাস কলকাতায় সাতসকালে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। কুমোরটুলির আহিরীটোলা ঘাটের কাছ থেকে দেহাংশ গঙ্গায় ভাসিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করার সময় পাকড়াও দুই মহিলা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই মহিলাকে আটক করেছে পুলিস। ট্রলি ব্যাগের মধ্যে একটি মুন্ডুহীন দেহ ভরে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিল দুই জন। ধৃতরা সম্পর্কে মা-মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ মঙ্গলবার সকালে একটি ট্যাক্সি করে আহিরীটোলা ঘাটের কাছে এসে পৌঁছয় দুই মহিলা। তাঁদের কাছে ছিল একটি বড় ট্রলি। প্রথমে তারা বাগবাজার থেকে আহিরীটোলা ঘাট পর্যন্ত ঘোরাফেরা করতে থাকে। এরপর ট্রলিটি গঙ্গায় ভাসাতে গেলে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে মহিলারা জানান, ট্রলির মধ্যে পোষ্যের দেহ রয়েছে। কিন্তু ট্রলির ওজন দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপরই বাক-বিতণ্ডা করে ট্রলি খোলা হলে বেরিয়ে পড়ে দেহাংশ। তৎক্ষণাৎ থানায় খবর দেওয়া হলে, পুলিস এসে দুই মহিলাকে আটক করে।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই মহিলার নাম ফাল্গুনী ঘোষ ও আরতি ঘোষ। তারা ট্রলি ব্যাগে করে সুমিতা ঘোষের দেহাংশ পাচারের চেষ্টা করছিল। তিনি ফাল্গুনী ঘোষের পিসি শাশুড়ি। মূলত, সাংসারিক অশান্তির কারণেই এই খুন বলে দাবি করেছে ফাল্গুনী ঘোষ।

জানা গিয়েছে, ধৃতরা মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লীতে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। ইতিমধ্যেই বীরেশপল্লীতে পৌঁছেছে পুলিস। সেখানকার স্থানীয়দের বক্তব্য, গভীর রাতে ওই বাড়িতে অল্পবয়সী যুবকদের আনাগোনা ছিল। ফলে বা়ড়িতেই সেক্স র‍্যাকেট চলত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পাড়া-পড়শিরা।

প্রাথমিক ভাবে পুলিসের অনুমান, মাথায় আঘাত করে পিসি শাশুড়িকে খুন করা হয়। এরপর বীরেশপল্লী থেকে ভ্যানে করে  দোলতলা যায় দুই মহিলা। সেখান থেকে গাড়ি করে কাজীপাড়া স্টেশনে পৌঁছে সেখান থেকে ট্রেনে করে আহিরীটোলা ঘাটে পৌঁছয় তারা। পুলিস ইতিমধ্যেই জোরকদমে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *